ধর্ষণের চেষ্টাকালে ধর্ষককে হাঁসুয়া (কােস্তা) দিয়ে কুপিয়ে আহত করে নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করেছে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের ষোড়শী কন্যা কাজলী রানী। এই ঘটনার পর পরই কাজলী রানী বাদি হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ আহত ধর্ষককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ মে উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের খোর্দ গোপালপুর গ্রামে। খোর্দ গোপালপুর গ্রামের দিনমজুর বিশ্বনাথ মহন্তের কন্যা কাজলী রানী মহন্ত স্থানীয় কোমরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা বিশ্বনাথ মহন্ত দিনমজুর ও গাভীর দুধ বিক্রি করে সংসার নির্বাহ করে থাকেন। একই গ্রামের অট্টু মিয়ার পুত্র আবদুল মালেক (২০) হোটেল কর্মচারী। সে প্রতিদিন কাজলীদের বাড়িতে দুধ কিনতে আসত। প্রায়ই সে কাজলীকে কুপ্রস্তাব দিত। ঘটনার দিন ৪ মে দুপুর বেলা কাজলীর বাড়িতে দুধ নিতে এসে নির্জনতার সুযোগে আবদুল মালেক কাজলীকে জড়িয়ে ধরে ঘরের মেঝেতে ফেলে দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং কাজলীর পরনে থাকা কামিজের একাংশ ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় কাজলী ঘরে থাকা হাঁসুয়া (কােস্তা) হাতের কাছে পেয়ে ধর্ষককে এলোপাতাড়ি কোপ দিতে থাকে। আহত ধর্ষক মালেক কাজলীকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। কাজলীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং ঘটনা বিস্তারিত শোনে। এ ব্যাপারে কাজলী মিঠাপুকুর থানায় ৪ মে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (৪) (খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এদিকে ধর্ষক মালেক স্থানীয় ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বোনের বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে বলে কাজলীর পিতা বিশ্বনাথ মহন্ত এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
দৈনিক সংবাদ, ১১ মে ২০০২