Site icon অবিশ্বাস

সিলেটের জৈন্তাপুরে গরম চা ঢেলে শিশুছাত্রের গলা ঝলসে দিলেন মক্তবের শিক্ষক

বড় বোনের সঙ্গে বাড়ির পাশে মসজিদের মক্তবে পড়তে গিয়েছিল সাত বছরের শিশু শাহরিয়ার নাফিজ নাবিল। সেখানে সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলায় মক্তবের শিক্ষক তার শরীরে ফ্লাক্সের গরম চা ঢেলে দেন। এতে শিশুটি ঘাড়সহ গলার বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায়।

 

২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু তিনপাড়া পশ্চিম মহল্লা জামে মসজিদের মক্তব্যে এ ঘটনা ঘটে।

নাবিল উপজেলার ফতেহপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের হেমু মাঝপাড়া গ্রামের এখলাছ উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় হেমু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিশুটির বাবা এখলাছ উদ্দিন চাকরির সূত্রে হবিগঞ্জে থাকেন। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এসে বিভিন্নজনের কাছে গিয়েও বিচার পাননি।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশুর মা-বাবা ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল কাহির পছা মিয়ার কাছে বিচার চাইতে যান। এ সময় তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। অসহায় পরিবারটি মামলার কথা ভাবলেও মক্তব্যের শিক্ষক ও স্থানীয় প্রভাবশীলরা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

এখলাছ উদ্দিন সমকালকে বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে নাবিল গ্রামের মক্তব্যে আরবি পড়তে যায়। সেখানে আরেক শিশুর সঙ্গে কথা বলায় শিক্ষক আব্দুল করিম ফ্লাক্সের গরম চা তার শরীরে ঢেলে দেন। এতে তার গলা ও ঘাড়ের অনেকখানি পুড়ে চামড়া উঠে যায়। এ ঘটনার পর শিশুর মাকে চাপ দিয়ে কাউকে বিষয়টি জানাতে নিষেধ করা হয়। পরে স্থানীয় একটি ফার্মেসি থেকে তাকে ওষুধ এনে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন আলী। তিনি সমকালকে বলেন, কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আরেকজনের কাছে তিনি খবরটি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।

ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল কাহির সমকালকে বলেন, সকালে (বৃহস্পতিবার) শিশুর মা-বাবা তাকে নিয়ে এসেছিল। যেভাবে শিশুটির শরীরে ঝলসে গেছে, তা খুবই দুঃখজনক। ঘাড়ের চামড়া উঠে শিশুটি খুব কষ্ট পাচ্ছে। ঘটনাটি অমানবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্কুল-মাদ্রাসায় শিশুদের নির্যাতন করতে সরকারের নিষেধজ্ঞা রয়েছে।

সমকাল

 

Exit mobile version