Site icon অবিশ্বাস

সিলেটের বিশ্বনাথে ঝাড়ফুঁকের নামে তরুণীকে দেড় বছর আটকে রেখে ধর্ষণ

সিলেটের বিশ্বনাথে চিকিৎসার নামে ঝাড়ফুঁকের কথা বলে দিনমজুরের তরুণীকে (১৯) প্রায় দেড় বছর ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর মায়ের অভিযোগের পর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ওই কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে। মুক্ত করা হয় ওই তালাবন্ধ তরুণীকে।

অভিযুক্ত কবিরাজের নাম কমরুদ্দিন (৫০)। তিনি উপজেলা খাজা ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে। তার কবিরাজি দাওয়াখানার নাম সিফা তদবিরালয়। বর্তমানে তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা শহরের পুরানবাজার (শরীষপুর) এলাকায় আছদ্দর ম্যানশনে ভাড়াটিয়া হিসেবে থেকে এরকম অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।

ওই তরুণীর মা সাংবাদিকদের জানান, প্রায় দেড় বছর আগে আমার বড় মেয়ে নানান রোগে আক্রান্ত হলে কবিরাজ কমরুদ্দিনের শরণাপন্ন হই। তখন ওই কবিরাজ নগদ ১০ হাজার টাকা এবং মেয়েকে তার কাছে রেখে যেতে বলে। আমি তার কথামতো টাকা পরিশোধ করে মেয়েকে তার কাছে রেখে আসি। পরে মেয়েকে আনতে সিফা তদবিরালয়ে গেলে তিনি মেয়েকে ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে নানা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। এভাবেই প্রায় দেড় বছর মেয়েকে তালাবন্দি করে আটক রাখেন। তার ভয়ে কাউকে কিছু বলার সাহস পাইনি।

ওই তরুণীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, কবিরাজ কমরুদ্দিন চিকিৎসার নামে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাকে দিনরাত ঘরের ভেতর তালা দিয়ে আটকে রাখত। সম্প্রতি কমরুদ্দিন ভুয়া বিয়ের কাগজ তৈরি করে তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিল।

সিফা তদবিরালয়ের আশপাশে বসবাসকারী কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কমরুদ্দিনের সিফা তদবিরালয়ে মূলত সুন্দরী তরুণী-যুবতীদের আনাগোনাই ছিল বেশি। এর আগে তিনি পলি নামে একটি মেয়েকেও এভাবে তার বাসায় আটকে রেখেছিলেন।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ শামিম মূসা বলেন, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ইত্তেফাক

Exit mobile version