Site icon অবিশ্বাস

সিলেটে গির্জাসহ কবরস্থানের ভূমি আত্মসাতের অভিযোগ

সিলেটে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গির্জাসহ কবরস্থানের ভূমি আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক এক সাব-রেজিস্ট্রারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

 

২৯ জুন মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, সিলেট সদরের সাবেক সাব রেজিস্টার মজিবুর রহমান পাটোয়ারী (৬৭), ইম্পালস বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম (৬০), সিলেট মিউনিসিপ্যালিটি ভূমি অফিসের সাবেক ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আসহাব উদ্দিন (৬০) এবং উপজেলা ভূমি অফিসের সাবেক কানুনগো মলয় কর (৫৫)।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে গির্জা ও কবরস্থানে ৮০ শতক ভূমি আত্মসাতে জড়িত তারা।

বাদী সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ২০১২ সালে সিলেট নগরীর রিকাবীবাজার এলাকায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গির্জা ও কবরস্থানের ৮০ শতক জায়গা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ইম্পালস বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আত্মসাৎ করেন।

“পুলিশ লাইন্স গির্জা সমিতি ওই ভূমির রক্ষণাবেক্ষণের দ্বয়িত্বে ছিল। সমিতির তৎকালীন সভাপতি যউবেল লুসাই দায়িত্বে থাকাকালীন সিরাজুর ইসলামের নজর পড়ে ওই জমিতে। তিনি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কবরস্থানের জমিটি পতিত দেখিয়ে মামলার অপর আসামিদের যোগসাজসে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করিয়ে সেখানে আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলেন।”

এ সময় আর্থিক সুবিধা নিয়ে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ভুয়া রেকর্ডপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং সিরাজুল ইসলামের নামে জমি নামজারি করে দেন বলে অভিযোগ তার।

তিনি আরও জানান, ২০১২ সালে এ ভূমির রেজিস্ট্রিতে দাম ধরা হয়েছিল ৭৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা কিন্তু জমিটির বর্তমান বাজার মুল্য অনুমানিক প্রায় ১২ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক তদন্ত শুরু করে। ভূমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

এ প্রেক্ষিতে দুদক স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করে বলে জানান মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন।

তবে এ বিষয়ে মামলার আসামিদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Exit mobile version