সুনামগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের লাটিপটো ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। এতে হয়েছেন আহত ১০ স্বাস্থকর্মচারী। ৭ জুন রবিবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৬ মহিলা স্বাস্থ্যকর্মচারীসহ ৮ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় ,গত ১২ দিন ধরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ উপজেলায় আউট-সোর্সিংএ কাজ করা ২৩৪ জন স্বাস্থকর্মচারীরা ১২ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছিল। করোনার এমন পরিস্থিতিতে ১২ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করছেন এসব কর্মচারীরা। এর মধ্যে তাদের বেতন না দিয়েই রবিবার নতুন করে আউট-সোর্সিংএ স্বাস্থকর্মচারীরদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে খবর পেয়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব স্বাস্থ্যকর্মচারীরা জড়ো হয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও করে সকাল থেকেই বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় সিভিল সার্জন কার্যালয় ভবনের মুল ফটক তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ এসে তাদের সড়ে যেতে বললে তারা মিছিল দিতে থাকে । পরে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে সড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের লাটিপেটায় আহত ১০ স্বাস্থকর্মচারী হয়েছেন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। পরে পুলিশ একঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় পুলিশ আন্দোলনরত ৮ স্বাস্থ্যকর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জয়নাল আবেদনী বলেছেন, অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভের কারণে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দরপত্র জমাদান প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। আমরা ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। কাউকে লাঠিপেটা করা হয়নি।