Site icon অবিশ্বাস

স্ত্রীকে আটকে রেখে থানায় স্বামীকে প্রহার, ২৫ হাজারে রফা

বরিশালে শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে আটকে রেখে থানায় স্বামীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীর দাবি, ২৫ হাজার টাকা আদায় করে এসআই সাইদুর রহমান সাইদ তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় এই ঘটনা ঘটার অভিযোগ পাওয়া গেলেও, পুলিশের দাবি, তারা শুধু সন্দেহবশত থানায় নিয়ে গিয়েছিল, মারধর বা অর্থ আদায় করেনি।

গত মঙ্গলবার ভোররাতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের বাসিন্দা মিঠুন সিকদার তার স্ত্রী সানজিদা নিপা ও ৪ বছরের ছেলে জুনায়েদকে নিয়ে বাসযোগে ঢাকা থেকে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যান। মিঠুন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টার্মিনাল সংলগ্ন নিঝুম আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেন।

মিঠুন সিকদার জানিয়েছেন, বাকেরগঞ্জের মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দফতরের শালিসীতে অংশ নিতে বরিশালে আসেন তিনি। সকালে স্ত্রী ও সন্তানকে হোটেলে রেখে বাকেরগঞ্জ যান। বেলা আনুমানিক ১২টার সময় তার স্ত্রী সানজিদা মোবাইলে জানান, হোটেলে পুলিশ এসেছে। এসআই সাঈদ হোটেল কক্ষে গিয়ে সানজিদাকে নানান প্রশ্নে জর্জরিত করেন। এ সময় এসআই সাঈদুরের সঙ্গে মিঠুন মোবাইলে কথা বলে জানান, তারা বিবাহিত। তারপরও সাঈদ উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে সানজিদা ও শিশু জুনায়েদকে থানায় নিয়ে যায়।

মিঠুন সিকদারের অভিযোগ, স্ত্রী-সন্তানকে থানায় নেওয়ার খবর জেনে তিনি বাকেরগঞ্জ থেকে সরাসরি বরিশাল এসে এয়ারপোর্ট থানায় যান। থানায় যাওয়ার পর তাকে এসআই সাঈদ আলাদা একটি কক্ষে নিয়ে মারধর করে এবং থানা থেকে মুক্ত হতে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করে। তার স্ত্রী ও সন্তানকে আলাদা একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়।

খবর পেয়ে মিঠুনের বড় ভাই দুলাল সিকদার ও সানজিদার বাবা নজরুল ইসলাম এয়ারপোর্ট থানায় গেলে এসআই সাঈদ ওই দম্পতিকে ছেড়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সন্তানসহ মুক্ত হন তারা। তবে ছেড়ে দেওয়ার আগে পুলিশ তাদের ছবি তুলে রাখে এবং সাদা কাগজে নাম-ঠিকানা লিখে রাখে। তাতে দুই জনের স্বাক্ষরও নেওয়া হয়।

এসআই সাইদুর রহমান সাঈদ নিঝুম হোটেলে গিয়ে সানজিদা ও তার শিশু সন্তানকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, সানজিদার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা পাওয়ায় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মারধর ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ সত্য নয়। এদিকে ওসি আব্দুর রহমান মুকুল ওই দম্পতিকে থানায় নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে তিনিও মারধর করা ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সূত্রঃ বাংলাট্রিবিউন

Exit mobile version