গাজীপুরে আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন পাশবিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এক নারী।
১৮ আগস্ট বুধবার গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী ওই নারী। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করলেও ধর্ষনকারীর সহযোগীরা মামলা প্রত্যাহারে ওই নারীকে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, জমি কেনার জন্য গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের সারদাগঞ্জ এলাকায় জনৈক কামাল হোসেনকে তিনলাখ টাকা দেওয়া হয় জমির মালিককে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কামাল হোসেন ওই টাকা জমির মালিককে না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। পরে গত বছর ১৪ অক্টোবর কামাল হোসেন নারীকে টাকা নেওয়ার জন্য তার কাছে যেতে বলেন।
ওই নারী টাকা ফেরত নিতে গেলে তাকে একটি ঘরে আটকে রেখে কামাল হোসেন ও তার বন্ধু তরিকুল ইসলাম সবুজ জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে নারীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে আসামিরা জামিনে বের হয়ে ফের তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে এবং মামলা তুলে নিতে ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে আসামি তরিকুল ইসলাম সবুজ ওই নারীকে জানায় তার কাছে অশ্লীল ভিডিও গুলো রয়েছে। তার সঙ্গে প্রেম ও বন্ধুত্ব না করলে সে এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে দিবে।
গত ৪ মার্চ তরিকুল কালিয়াকৈর থানার আনন্দ পার্কে ওই নারীকে নিয়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ফের ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই নারী গত ১২ জুন কালিয়াকৈর থানায় ফের মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামী তরিকুল ইসলাম সবুজ বর্তমানে জেল হাজতে থাকলেও তার সহযোগীরা মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে এবং ভূক্তভোগী নারীকে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।