দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ইউনুছ আলী (৬৮) নামে এক বৃদ্ধকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৪ মার্চ রবিবার সকাল ১০টার দিকে শিশুটির বাড়িতেই ধর্ষণচেষ্টা চালান ইউনুছ আলী।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ইউনুছ আলীর বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে।
ভুক্তভুগি শিশু জানায়, ১৪ মার্চ রবিবার সকালে বাবা-মা কৃষি কাজের জন্য বাড়িতে ছিলেন না। সকাল দশটার দিকে প্রতিবেশী ইউনুছ আলী বাড়িতে ঢুকে তার পড়নের পাজামা খুলে ফেলেন। চিৎকার করলে খুন করার ভয়ও দেখান এ সময়। প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী জানান, পান খাওয়ার জন্য তিনি ওই বাড়িতেই যাচ্ছিলেন। গেটের কাছে গিয়ে কান্নার আওয়াজ পান। ভেতরে ঢুকে দেখেন শিশুটিকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণচেষ্টা করছেন ইউনুছ আলী। এ সময় তিনি ডাক-চিৎকার দিলে অভিযুক্ত ইউনুছ পালিয়ে যান।
ধর্ষণচেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত করে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত রানা লাবু বলেন, অভিযুক্ত বৃদ্ধের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত ইউনুছ আলী বলেন, তিনি গাছ বিক্রির জন্য ওই শিশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। শিশুটির সঙ্গে তিনি কোনো খারাপ আচরণ করেননি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার খবর পেয়ে রবিবার বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্ত ইউনুছ আলীকে তার বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। একইদিন দুপুরে ওই বৃদ্ধকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।