ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের চপই ফিরোজা বানু হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার হেফজ বিভাগের এক ছাত্রকে অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কর্তৃক জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে।

ভিকটিমের পিতা প্রধান শিক্ষক হাফেজ রবিউল ইসলাম (৪০)কে আসামী করে নান্দাইল মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

থানায় দায়েরকৃত বাদীর অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ রবিউল ইসলাম শরীর টিপানোর কথা বলে ছাত্রকে রাতে তার কক্ষে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাকে ৮/৯ দিন পায়ূ পথে ধর্ষন করে।

একপর্যায়ে ছাত্র যৌন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করলে তার মুখে বালিশ চেপে ধরে উক্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ছাত্রকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ৩ জুলাই বুধবার ছাত্র এমন অমানিবক যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে চলে আসে ঘটনাটি তার পিতাকে জানান। সে কান্নাস্বরে আরও জানায় উক্ত প্রধান শিক্ষক প্রতি রাতেই মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে এরকম অনৈতিক কর্মকান্ড করে থাকে। বর্তমানে সে অসুস্থ ও মানসিক অবস্থার চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ায় তার শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অত্র মাদ্রাসার এক শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রধান শিক্ষক প্রায়ই ছাত্রদের সাথে এরকম করে থাকেন। এ বিষয়ে ছাত্রের পিতা বলেন, বিষয়টি লজ্জাজনক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে ফয়সালার চেষ্টা করলে একটি চক্রের কারনে ন্যায় বিচার পাওয়া সম্ভব হয়নি। ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা এরকম নরপশুদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেন ছাত্রের পরিবার।

বর্তমানে উক্ত প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (উপ-পরিদর্শক) মো. লিটন মিয়া জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং ধর্ষিত ছাত্রটির মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

এস এন এন টোয়ান্টি ফোর

মন্তব্য করুন