লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মো. রিয়াদ (২১) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এতে ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে অভিযুক্তের বাড়িতে অবস্থান নিলে পরিবারের লোকজন তাকে বের করে দেয়।

 

২৩ এপ্রিল শুক্রবার রাতে মেয়েটি নিজ কক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। সোমবার বিকালে মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতাল পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় মেয়েটির মা একই এলাকার আবদুল হক বকাউলের ছেলে মো. রিয়াদকে অভিযুক্ত করে সোমবার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা জানান, গত ১০ মাস ধরে রিয়াদ মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে আসছে। ৪ দিন মেয়েটিকে তার এক বান্ধবীর বাসায় রেখেও ধর্ষণ করে রিয়াদ। এতে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন নজরে এলে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে বিষয়টি সে স্বজনদের কাছে খুলে বলে।

শুধু তাই না গোপন ক্যামেরা দিয়ে অন্তরঙ্গের ছবিও তোলে রাখে রিয়াদ। কাউকে ঘটনাটি জানালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়। লজ্জায় মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি ছেলের পক্ষ নিয়ে অপমান করার চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিয়াদ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। পাশের বাড়ির মেয়েটির সঙ্গে রিয়াদের মোবাইলে সম্পর্ক ছিল, তবে ধর্ষণ হয়নি বলে দাবি করেন তার মা শাহনাজ বেগম।

উত্তর চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন হাওলাদার বলেন, আমার এলাকার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই মেয়েটির সঙ্গে একই এলাকার রিয়াদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে তা মেয়েটি বলেনি। এ বিষয়ে শুক্রবার-ইউপি পরিষদে উভয় পরিবারকে নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করলেও মেয়ে ও তার পরিবার আসেনি। যদি ধর্ষণ হয়ে থাকে তাহলে ধর্ষণ-আইনে বিচার হবে।

রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েটির মা থানায় মামলা করেছেন। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন