শেরপুর শহরের বাগরাকসা মহল্লায় সৎ বাবা ও ফুফাতো ভাইয়ের হাতে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবারের এই ঘটনায় মেয়েটির মা থানায় অভিযোগ করলে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বাগরাকসা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন এক নারী শ্রমিক। কিছুদিন আগে বর্তমান স্বামী তার ভাগিনার সঙ্গে প্রথম পক্ষের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে স্ত্রী রাজি হননি। এরপর থেকে বিয়ে করানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন বর্তমান স্বামী। সোমবার বিকেলে ওই নারী কাজে বের হলে তার বর্তমান স্বামী বাড়িতে সেই ভাগিনাকে ডেকে আনেন। পরে মেয়েটির ঘরে ভাগিনাকে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। এসময় ভাগিনা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরে সৎ বাবাও মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনা কাউকে জানালে মেয়েটিকে হত্যার হুমকিও দেয়া তারা। পরে সন্ধ্যায় মা বাড়িতে ফিরলে মেয়েটি সব ঘটনা তাকে জানায়। মা পরে থানায় অভিযোগ দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে সদর থানার ওসি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটির মা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। আটকরা ঘটনায় জড়িত থাকায় কথা স্বীকার করেছেন।

সমকাল

মন্তব্য করুন