শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন ও ‘উসকানি’ দেয়ার অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) চার শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহমত পোষণ করাকে শিক্ষকদের সংশ্লিষ্টতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ১৭ অক্টোবর তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেয়ার কথা বলা হলেও শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব না দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে চার সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।
শোকজপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল, একই বিভাগের প্রভাষক শাকিলা আলম, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রভাষক আয়েশা রহমান আশা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার খান গোলাম কুদ্দুস স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, গত ২ জানুয়ারি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ প্রশাসনিক ভবনে তালা মেরে উপাচার্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এর ফলে প্রশাসন ভবনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিশেষ করে নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রশাসনিক কাজের বিঘ্ন ঘটে ও স্বাভাবিক যাতায়াত ব্যাহত হয়। এছাড়া একাডেমিক ভবনসমূহেরও কোনো কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী আটকা পড়েন। এতে কতিপয় শিক্ষক জড়িত ছিলেন।