জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় হতদরিদ্র পরিবারের চৌদ্দ বছরের এক কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রোববার (২৯ মার্চ) রাত ৩টায় সংঘবদ্ধ একদল বখাটে কিশোরীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পেছনের মরিচক্ষেতে ধর্ষণ করে।

 

পরে ভোর রাতে মরিচক্ষেত থেকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন মেয়ের বাবা। উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের চর জালালেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা আফজাল হোসেন বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মেলান্দহ উপজেলার টগারচর গ্রামের হাবলু মিয়ার ছেলে মিজান (২০) ও একই উপজেলার রুহিলী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রাশেদুল ইসলাম পোসনসহ (২১) অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটির প্রধান আসামি মিজানকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বখাটে মিজান ও রাশেদুল ইসলাম পোসন পাশের গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুজন কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে রোববার রাত ৩টার দিকে পানি খাওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে তার বাবা-মায়ের সামনে থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বাড়ির কাছেই মরিচক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। ৩০ মার্চ সোমবার ভোররাতে তার বাবা তাকে মরিচক্ষেত থেকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই কিশোরী বর্তমানে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান বলেন, মামলাটির প্রধান আসামি মিজানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

সময় নিউজ টিভি

মন্তব্য করুন