নওগাঁর রাণীনগরে এক বিধবাকে (৪০) ধর্ষণের অভিযোগে ইমামসহ স্থানীয় ৭ জন মাতব্বরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জামাল হোসেন (৪৬) ও অফির উদ্দীন (৬০) নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

 

রোববার (১০ জানুয়ারি) রাতে রাণীনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার গহেলাপুর বড়িয়া গ্রামের মৃত শাহাদ আলীর ছেলে জাকারুল ইসলাম জাকির স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। এরইমধ্যে ওই এলাকার এক বিধবাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে ওই নারী প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। এরপর গত বছরের ১০ নভেম্বর রাতে ওই বিধবার বাড়িতে ঢুকে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার কয়েকদিন পর আবারো ওই বিধবার ঘরে ঢুকলে বিধবা জাকিরুলকে বিয়ের চাপ দেয়। পরে বিয়ে করবে না জানিয়ে বিধবাকে মারধর করে চলে যায় জাকির। কিছুদিন পর বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য মাতব্বররা সালিশ বসিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ওই ইমামের। এরপর বিধবাকে কোনো টাকা না দিয়ে ঘটনা কাউকে না বলতে চাপ দেয় মাতব্বররা। পরে ভুক্তভোগী বিধবা ৭ জনকে আসামি করে রাণীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ জানান, নির্যাতনের শিকার বিধবা নারী বাদী হয়ে রোববার (১০ জানুয়ারি) রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ এনে ইমাম জাকিরুল, মাতাব্বর জামালসহ ৩ জনকে এজাহার নামীয় এবং আরও ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুখান দিঘী গ্রামের কায়েম উদ্দীনের ছেলে মাতব্বর জামাল হোসেন ও বড়গাছা গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে অফির উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি ইমাম জাকিরুল পলাতক রয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

সময় নিউজ টিভি

মন্তব্য করুন