অভিযুক্ত ধর্ষকসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষকের সঙ্গে ১৪ বছরের কিশোরীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এবং বাল্য বিবাহ আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত নাসির মিয়া (২৫), কাজির সহকারী ফিরোজ আলম (৪৫), খোরশেদ আলম (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৪৫), মনির হোসেন (৪৬) ও আরিফুর রহমান (৩৫)।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে ফতুল্লার ভাড়াবাড়িতে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণ করেন একই বাড়ির ভাড়াটিয়া নাসির মিয়া। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তের সঙ্গে বিয়ের জন্য কিশোরীর পরিবারকে চাপ দেন।
একপর্যায়ে ওইদিন রাতেই স্থানীয় কাজির সহকারী ফিরোজ আলমকে ডেকে এনে ওই অভিযুক্ত নাসিরের সঙ্গে ওই কিশোরীর জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি এলাকার লোকজন জানতে পেরে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ধর্ষকসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।
মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক মজিবুর রহমান ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।