পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলমান দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর সেই ঘটনা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঘটা এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত রিয়াজ বৈদ্য (৩০) পলাতক। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে গেছে নির্যাতনের শিকার মেয়েটি (১৫)।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রী হানিফ বৈদ্যর ছেলে রিয়াজ বৈদ্য ওই দাখিল পরীক্ষার্থীকে সম্প্রতি ধর্ষণ করে। এ সময় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সে।
পরে ওই ছাত্রীকে ব্লাকমেইল করার জন্য অশ্লীল ভিডিওটি বিভিন্ন মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয় রিয়াজ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর ওই পরীক্ষার্থী আত্মগোপন করে।
স্থানীয় একটি মহল ওই বখাটের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। অশ্লীল ভিডিও ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেওয়ার পর থেকে পলাতক রিয়াজ।
স্থানীয় চৌকিদার নিজাম জানান, রিয়াজ লম্পট প্রকৃতির। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীঘটিত কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কবির হোসেন জানান, বখাটে রিয়াজ দুটি বিয়ে করে তালাক দিয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি ও তার পরিবারের কাউকেই না পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই বখাটে পলাতক রয়েছে।