ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

 

১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে দরিমান আলী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্বের জের ধরে বসিলা (কুড়ালের মতো এক ধরনের দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে বিদ্যালয় চত্বরের শহীদ মিনারটি ভাঙচুর করেন। বসিলার আঘাতে ভেঙে যায় মিনারের তিনটি স্তম্ভের কিছু অংশ।

এ সময় স্থানীয় এক নারী বাধা দিতে গেলে তাকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘আমি এখানে ব্রিজের ড্রেনের কাজ করি। কাজ চলাকালে দেখি বিদ্যালয়টির শহীদ মিনার বসিলা দিয়ে ভাঙছে এক বয়স্ক ব্যক্তি। পরে আমি পাশের দোকানে গিয়ে বললাম স্কুলের শহীদ মিনারটা একজন ভাঙতেছে। পরে এক নারী এসে বাধা দিলে ওই বয়স্ক ব্যক্তি ছাতার ভেতর থেকে ছুরি বের করে তাকেও আঘাত করে। এ সময় অনেক লোকজন একত্রিত হলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়।’

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মাসুমা বুলি বলেন, ‘শহীদ মিনার ভাঙচুরের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদ ইবনে সুলতানসহ পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।

ইউএনও রেজাউল করিম বলেন, ‘শহীদ মিনার ভাঙচুরের বিষয়টি দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন