নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় বাকপ্রতিবন্ধী গৃহকর্মীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে গৃহকর্মী ও তার পরিবার।
পুলিশ কনস্টেবল হ্যাপীর স্বামী মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলায় গৃহকর্মীর মা-বাবাসহ পরিবারের পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে বন্দর উপজেলার বুরুন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার নির্যাতিত গৃহকর্মীর পরিবার বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। নির্যাতিত বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
নির্যাতিত গৃহকর্মীর মা-বাবা বলেন, ৯ মাস আগে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে বুরুন্দী এলাকার হরমুজ আলী মিয়ার ছেলে মামুন ও বাবুল মিয়ার মেয়ে নড়াইলের পুলিশ কনস্টেবল হ্যাপীর বাড়িতে কাজে পাঠাই। কিছুদিন যেতে না যেতেই পুলিশ কনস্টেবল হ্যাপী ও তার স্বামী মামুন আমার মেয়েকে নির্যাতন শুরু করে।
পাশাপাশি পুলিশ কনস্টেবল হ্যাপীর অনুপস্থিতিতে তার স্বামী মামুন আমাদের মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি হ্যাপীকে জানায় মেয়ে। কিন্তু স্বামীকে কিছু না বলে উল্টো আমাদের মেয়েকে নির্যাতন করে হ্যাপী। সেই সঙ্গে মেয়েকে মেরে জখম করে তারা।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করি আমরা। সেই সঙ্গে মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চেয়ে হ্যাপীর বাবা বাবুল মিয়ার কাছে অভিযোগ দেই। কিন্তু বাবুল মিয়া বিচার না করে তার ছেলেদের দিয়ে আমাদের সবাইকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আমরা থানায় অভিযোগ দেই।
এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি দেলোয়ার প্রধান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং ন্যক্কারজনক। একজন পুলিশ সদস্যের পরিবারের কাছ থেকে এমনটি আশা করি না আমরা। গৃহকর্মীকে ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল হ্যাপী বলেন, ওই গৃহকর্মী একজন দুশ্চরিত্রা মেয়ে। টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার জন্য আমার স্বামীর বিরুদ্ধে পরিবারের বিভিন্নজনের কাছে আবোল তাবোল কথা বলে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি আমরা। গৃহকর্মীর পরিবারের আহতদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওসির সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ