বরিশালে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি মীর আরমান নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অন্য আসামি মো. অনিক পলাতক।
২৫ জুন মঙ্গলবার নগরীর বাঘিয়া সাকিনস্থ চেয়ারম্যান বাড়ির গলির রহিম ভিলায় এ ঘটনা ঘটে।২৭ জুন বৃহস্পতিবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভিকটিমের মা।
ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে নগরীর শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এবং এয়ারপোর্ট থানার লাকুটিয়া এলাকার মুকুন্দপট্রির বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত নগরীর লুৎফর রহমান সড়কের বাসিন্দা মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে মীর আরমান (১৯) ওই ছাত্রীর স্কুলে আসা যাওয়ার পথে হয়রানি ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এতে সে রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ছাত্রী বাসা থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হলে নথুল্লাবাদের বৈশাখী বিরিয়ানী হোটেলের সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় মীর আরমান। এরপর বাঘিয়া সাকিনস্থ চেয়ারম্যান বাড়ির গলির রহিম ভিলার ১ম তলায় শাহ আলম ফকিরের ছেলে অনিকের ঘরে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমকে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মীর আরমান ধর্ষণ করে।
এদিকে ওই ছাত্রী বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে এবং খবর পেয়ে অনিকের বাসা থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে তার বাবা। পরে মেয়ের মুখে বিষয়টি শুনে থানায় মামলা করেন।
এয়ারপোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিকেও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।