ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মেয়েটি বাদী হয়ে এ মামলা করেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী নাজমুল হক (রিটন) জানান।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মাফরোজা পারভিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাকে মামলাটি নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
মেয়েটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার একটি মাদ্রাসার ছাত্রী। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার বরাতে নাজমুল বলেন, মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে সূর্যকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে জনি মিয়া মেয়েটিকে উত্যক্ত করতো। এ কারণে মেয়েটিকে তার মামার বাড়ি সদর উপজেলার বুধলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে জনিও সেখানে যায়।
“গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার বিকালে মেয়েটি মামার বাড়ি থেকে সদর উপজেলার সুহিলপুরের সুতার মুড়া গ্রামে খালার বাড়ি যাচ্ছিল। পথে জনিসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনকে মেয়েটিকে ধরে নিয়ে যায়। পরে বুধল এলাকার বন্দের বড় ব্রিজের নিচে জনি তাকে ধর্ষণ করে।”
এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে জনি পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।