ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্লাটফরমে এক মানববন্ধনের কর্মসূচি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার রোমান হোসেন শহরের কাজিপাড়ার বাসিন্দা। মামলার অপর আসামি ‘সৈনিক লীগ’ নামক এক সংগঠেনের নেতা জুম্মান। রোমান তার ভাই।
হামলায় আহত শাহাদৎ হোসেনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তিনি প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক।
শাহাদৎ হোসেন জানান, হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পুনরায় চালুর দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধনের আয়োজন করে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। এতে আওয়ামী লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ নেয়।
জেলার অন্য সাংবাদিকদের সাথে তিনিও সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন।
শাহাদৎ বলেন, “মানববন্ধন চলাকালে স্টেশনের গেইট কিপার মুরাদুল ইসলামকে রোমান নামের এক যুবক মারধর করেন।
“মুরাদুল বিষয়টি আমাকে জানালে আমি যুবলীগ নেতা ভিপি হাসান সারোয়ার ভাইকে জানাই। আমি কেন হাসান ভাইকে জানালাম এ কারণে রোমান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে রোমান এবং তার ভাই সৈনিক লীগের নেতা জুম্মান কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারধর শুরু করে। তারা এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে।”
এ ঘটনায় সাংবাদিক শাহাদৎ বাদী হয়ে রোমান ও জুম্মনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন।
পরে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান হাসপাতালে শাহদৎ হোসেনকে দেখতে যান।
শাহাদৎকে মারধরে ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা ঘটনার পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে জড়ো হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (ইমজা) সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেছেন।