মাগুরায় ওলিয়ার রহমান নামে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ২৩ জুন রোববার দুপুরে শহরতলীর ভায়না দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
২৪ জুন সোমবার সকালে ওই স্কুলছাত্রীর মা মাগুরা সদর থানায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরে মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে ধর্ষণ প্রচেষ্টার অভিযোগে সোমবার রাতে প্রধান শিক্ষক ওলিয়ার রহমানের উপর হামলার অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবাসহ একাধিক ব্যাক্তির নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়েছে । এরইমধ্যে পুলিশ ওই ছাত্রীর বাবাকে আটক করেছে।
স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তার মেয়ে বাড়ির পর্শ্ববর্তী একটি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। কয়েকদিন ধরে সে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় স্কুলে যেতে না পারায় তারা বিষয়টি ফোনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওলিয়ার হুজুরকে জানান। পরে প্রধান শিক্ষক রোববার দুপুরে তার মেয়েকে দেখতে এসে সরাসরি তার শোবার ঘরে প্রবেশ করে এবং এক পর্যায়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকারে দিলে শিক্ষক ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে তাদের বিষয়টি চেপে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ওই শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম সমকালকে জানান, আইন সকলের জন্যই সমান। সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় প্রধান শিকক্ষক ওলিয়ার রহমানকে আটক করা হয়েছে। পরে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় একটি পৃথক মামলায় ওই ছাত্রীর বাবাকে আটক করা হয়।