কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের দুই শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে মৌলভীবাজার সদরের ওয়াপদা (স্টেডিয়াম) এলাকায় গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে এসে একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশায় কলেজ ছাত্রী (১৮) ও তার বান্ধবী (২০) উঠলে কিছুক্ষণ পর যাত্রী বেশে চারজন ছেলে সিএনজি অটোরিক্সাতে উঠে।
তখন তারা চালককে সিএনজি ঘুরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়। চালক তাদের কথামত গাড়ি নিয়ে চলে। ওই চারজন গাড়ির পর্দা টেনে দুই বান্ধবীর হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে স্টেডিয়াম এলাকার পেছনে একটি ঝোঁপে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করে মোবাইল, বই ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশকে জানালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ভুক্তভোগীর আত্মীয় স্বজনকে খবর দিয়ে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে তাদের ভর্তি করেন।
ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মৌলভীবাজার মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা নং-১২। তারিখ ১৪.০১.২০২০। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত আকাশ, মুন্না ও হুমায়ুন নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মুন্না সদর উপজেলার ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের উত্তরজগন্নাথপুর গ্রামের ইসলাম মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। অন্য আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার হওয়া দু’জনের বাড়ি সদর উপজেলায়। এ বিষয়ে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেছেন দুই শিক্ষার্থী। ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।