যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় অষ্টাদশী এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ১৭ ডিসেম্বর সকালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তা তদন্তের পর বৃহষ্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে শার্শা থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। যার নং ১৩, তারিখ-১৯/১২/২০১৯।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সামটা গ্রামের শাহাজান কবিরের ছেলে কলেজ ছাত্র মোনায়েম হোসেন মুন্না একই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে কয়েক মাস আগে বাগআঁচড়া কলেজে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মুন্না ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। এক পর্য়ায়ে ওই ছাত্রী মুন্নাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু তখন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ওই কলেজ ছাত্র মুন্না। পরে নিজেই বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে মুন্না আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এখন বিয়ে করতে চায় না। তাই আমরা থানায় মামলা করেছি।
এদিকে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) কলেজ ছাত্রী বিয়ের দাবিতে মুন্নার বাড়িতে এসে হাজির হয়। সারারাত মুন্নার বাড়ির সামনে অবস্থান করে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে শার্শা থানার পুলিশ তাকে মুন্নার বাসা থেকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মেয়েটিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।