রাজধানীর পূর্ব রামপুরায় ৭ বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শিশুটিকে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে চেয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি।
হাসপাতালে শিশুটির মা অভিযোগ করে জানান, তারা পূর্ব রামপুরা একটি টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শিশুটির বাবা অসুস্থ আর তিনি অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করেন। গতকাল সকালে যখন তিনি কাজে ছিলেন, তখন বাসায় একাই খেলছিল শিশুটি। সেখান থেকে প্রতিবেশী ষাটোর্ধ্ব কাঁচামাল ব্যবসায়ী এক ব্যক্তি শিশুটিকে পচা পেঁয়াজ থেকে ভালো পেঁয়াজ বাছাই করার জন্য ডেকে তার বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে রুমের দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে। পরে শিশুটি সেখান থেকে বাসায় চলে আসলেও কাউকে কিছু বলেনি। শিশুটির মা রাতে বাসায় ফিরে বিষয়টি বুঝতে পেরে শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলে পরে সে ঘটনাটি খুলে বলে।
মায়ের অভিযোগ, আজ ঘটনাটি জানাজানি হলে পরে বিকেলে এলাকাতেই ঘটনার মীমাংসার জন্য অভিযুক্ত একটি সালিশ বৈঠক করে। সেখানে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ঘটনাটির মীমাংসা করতে চায়। তবে টাকা দিয়ে এ ঘটনার মীমাংসা করবেন না বলে শিশুটির মা সেখান থেকে চলে আসে। এরপর রাতে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাতে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসা হয়। এরপর শিশুটিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি রামপুরা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।