সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় সিদ্দিকিয়া কওমি মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে হাফেজ মুছআব বিল্লা (২৫) নামে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার মাওলানা সামছুল হকের ছেলে।
ভুক্তভোগী ছেলেটির বাবা জানান, গত ঈদ-উল-ফিতরের পর বিভিন্ন সময়ে তার ছেলেকে মাদ্রাসার সিঁড়ি ঘরের পাশের একটি রুমে এবং ছাদে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শিক্ষক মুছআব বিল্লা। পরবর্তীতে ছেলেটি ভয় পেয়ে কাওকে কিছু না জানিয়ে বাসায় এসে তাকে অন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে বলে।
তিনি বলেন, “অন্য মাদ্রাসায় ভর্তির কারণ জানতে চাইলে সে প্রথমে সে কিছু না বললেও একপর্যায়ে তার নানার কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে। সাথে সাথেই আমরা বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারসহ অন্যদেরকে জানাই। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে, উল্টো আমাদের কোনো পদক্ষেপ নিতে বারণ করে৷ এমনকি ওই শিক্ষককে পালিয়ে যেতেও সাহায্য করে। বাধ্য হয়ে গত ৯ জুলাই আমার স্ত্রী বাদী হয়ে পাটকেলঘাটা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ”
এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক মো. রোকন মিয়া জানান, বেশ কিছুদিন অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে তাকে মাগুরা সদর থানার বন্যতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পাটকেলঘাটায় থানায় আনা হয়।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মনিরুল হক জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই ম্যানেজিং কমিটি একটি সভা ডেকে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করেছে।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তির কথা বিবেচনা করে বিষয়টি গোপন রাখা হয়।