সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় শ্যালিকাকে ধর্ষণ করেছে জাকির মিয়া (২৮) নামে দূর-সম্পর্কের এক দুলাভাই। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউপির লামা গাভুরটিকি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে জাকির মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণকারী দুলাভাই জাকির মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাকিরকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওসমানীনগর থানায় মামলা করেন।
মামলার পর সোমবার রাতেই নির্যাতিত কিশোরীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে পুলিশ।
পুলিশ ও নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, পিতৃহীন কিশোরীর মা সোমবার সকালে মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে প্রতিবেশীর বাড়িতে কাজ করতে যান। দুপুর দেড়টার দিকে কিশোরীর দূর-সম্পর্কের দুলাভাই একই গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে জাকির মিয়া তাদের বাড়িতে আসে।
এ সময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় জাকির মিয়া। পরে কিশোরীর মা বাড়িতে আসলে ধর্ষণের বিষয়টি মাকে জানায়। ধর্ষণের খবরটি ওসমানীনগর থানা পুলিশকে জানান কিশোরীর মা। কিশোরীকে ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে জাকির মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কিশোরীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি গরিব ও অসহায় মানুষের বাড়িতে কাজ করে মেয়েকে নিয়ে চলছি। আমার কিশোরী মেয়েকে একা বাড়িতে রেখে অন্য জায়গা কাজ করতে গেলে লম্পট জাকির এ সর্বনাশ করে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানা পুলিশের ওসি এসএম আল মামুন বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। নির্যাতিত কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষক জাকিরকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।