সিলেটের জকিগঞ্জে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ৫ এপ্রিল সোমবার রাতে। তবে স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েক প্রভাবশালীর চাপের কারণে তা তাৎক্ষণিক প্রকাশ করেনি নির্যাতিতার পরিবার।

 

জানা গেছে, সোমবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ওই ছাত্রী ঘরের বাইরে বের হলে মৃত আকতার আলীর ছেলে সালমান আহমদ তার সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে অচেতন অবস্থায় আবার সালমানের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে বাড়িতে এনে দেন। ঘটনার পরপরই বিষয়টি গোপন রাখতে চাপ সৃষ্টি শুরু করেন স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েক প্রভাবশালী।

নির্যাতিতার মা ও বাবাসহ তাদের বাড়ির মহিলারা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর সেনাপতিরচক গ্রামের হেলাল আহমদ, স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য সামছুল হক, রারাইগ্রামের হাফিজ খালেদ ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা করে বিচার করবেন বলে জানান। তাদের ভয়ে তাৎক্ষণিক তারা মুখ খোলেননি। কিন্তু মেয়েটির অধিক রক্তক্ষরণের কারণে পরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এতে ওই প্রভাবশালীরা ক্ষেপে গিয়ে ভিকটিমের ভগ্নিপতিকে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। পরে প্রভাবশালীরা ধর্ষকের পরিবার দিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য সামসুল হক জানান, তিনি ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাননি। তবে তার বাড়িতে ঘটনাটি নিয়ে দুটি বৈঠক হয়েছে। কিন্তু ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করার কারণে আর কোনো বৈঠক হয়নি।

জকিগঞ্জ থানার ওসি আবুল কাসেম জানান, ভিকটিমের পরিবার অভিযোগ নিয়ে থানায় আসবে কথা হয়েছে। যারা ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টা ও নির্যাতিতার পরিবারকে উল্টো হয়রানি করছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

যুগান্তর

মন্তব্য করুন