সিলেটের বিয়ানীবাজারে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল লতি (৬৩) নামে আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে মুদি দোকানি লতি ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে জানা গেছে।

 

স্বজনরা জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুর বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের লাংলাকোনা গ্রামে। স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিশু ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। তাকে চকলেট দেয়ার কথা বলে আব্দুল লতি নিজের মুদির দোকানে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তার মাকে জানায়।

শিশু ধর্ষণের এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলে। এ অবস্থায় ভিকটিমের পরিবার ঘটনাটি পুলিশকে জানালে মামলা হয়। শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল লতি লাংলাকোনা গ্রামের মৃত মোশাহিদ আলীর ছেলে।

শিশুর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে নির্যাতন করেছে লতি। এলাকায় তাদের প্রভাব আছে। মামলার পর পরিবার নিয়ে ভয়ে আছি।’

বিয়ানীবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, ‘মুদি দোকানী লতি চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে বলে জানা গেছে। শিশুর মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন