ফেনীর সোনাগাজীতে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে অপহরণ করে গর্ভপাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের তিন মাস ৫ দিন পর ১৪ মার্চ শনিবার রাতে ফেনী শহরের পূর্ব দেবীপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত জেঠা শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করায় গত ৯ ডিসেম্বর ফেনীর আদালতপাড়া থেকে তিনি অপহরণের শিকার হন।
গত ২২ নভেম্বর সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের বক্স আলী সুফি বাড়ির সফি উল্যাহর (৭৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধ।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত বছরের ১৮ জুন তার শ্বাশুড়ি লাকি আক্তার নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ নিজের আট বছর বয়সী শিশুপুত্র নিয়ে শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এই সুযোগে রাত ১২টার দিকে তার শয়ন কক্ষে ঢুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ওই গৃহবধূর স্বামী ওমান প্রবাসী।
উদ্ধারের পর ওই নারী পুলিশকে জানায়, গত ৯ ডিসেম্বর কারাগার থেকে বের হলে রিয়াদ ও মোরশেদ আলম স্বপন গাড়িতে করে একটি বাসায় নিয়ে আটক করে রাখে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই-তিন দিন পর পর তারা দু’জনসহ আরও একজন মিলে আমাকে জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে ও ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে আমার সন্তানকে মেরে ফেলে। পরে আমার মৃত সন্তান প্রসব হয়। তখন আমি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনী পৌরসভার পূর্ব দেবীপুর এলাকার একটি বাসা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, অপহরণের তিন মাস পর মামলার বাদীকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে রিয়াদ ও তার বন্ধু মোরশেদসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।