করোনার লকডাউনেও কোচিং সেন্টার খোলা রেখে সেখানেই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক হলেন চন্দন কুমার বৈদ্য।
এই ঘটনায় ভুক্তভাগী ছাত্রীর পক্ষ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয়নি। শেষে থানায় শরণাপন্ন হয় ছাত্রী ও তার পরিবার। অবশেষে ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানায় শিক্ষক চন্দন কুমার বৈদ্য’র নামে মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
এজাহার মতে, পিএমখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক চন্দন কুমার বৈদ্য সরকারি নির্দেশনা না মেনে তার বাড়ি জুমছড়ি হিন্দু পাড়াতে নিয়মিত ব্যাচ করে কোচিং সেন্টার চালু রাখে। গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় সেই কোচিং সেন্টারে পড়তে আসা বাংলাবাজার গার্লস স্কুলের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শিক্ষক চন্দন কুমার বৈদ্য প্রথমে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে রাজী না হওয়ায় ধর্ষণ চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনায় মেয়ের মা বাবা পিএমখালী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরাবরে শাস্তির দাবীতে লিখিত অভিযোগ করে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা জানান, বিদ্যালয় কর্তপক্ষ নিবে বলে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা থানার শরণাপন্ন হয়েছি। লম্পট শিক্ষক চন্দন কুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। শিক্ষক চন্দন কুমারের বিরুদ্ধে আগেও বহু অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কবীর বলেন, ওই ছাত্রীর দায়ের করা এজাহারটি তদন্ত করে মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।