প্রবন্ধধর্মসাম্প্রদায়িক বিরোধ । কাজী মোতাহার হোসেন

সাম্প্রদায়িক বিরোধ । কাজী মোতাহার হোসেন

দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন বা অসহযোগ আন্দোলনের সময় দেখা যায় মুসলমান হিন্দুর সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। হিন্দু-মুসলমান চাকরিজীবী বা উকিল-মোক্তার বা স্কুল-কলেজের ছাত্রদিগের সংখ্যা-অনুপাতে দেখলে বলা যায়, প্রায় সমভাবেই যোগ দিয়েছিল। এতদিনে মুসলমানের ভিতর কিছু রাজনৈতিক চেতনার সঞ্চার হয়েছিল বলে ধরে নেওয়া যায়। এই সময় সর্বপ্রথম বন্দেমাতরম ও আল্লাহু-আকবর একসঙ্গে ধ্বনিত হয়। মনে হয়েছিল হিন্দু মুসলমান যেন অনেকটা একীভূত হয়ে গেছে।

সাম্প্রদায়িক বিরোধ । কাজী মোতাহার হোসেন

দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন বা অসহযোগ আন্দোলনের সময় দেখা যায় মুসলমান হিন্দুর সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। হিন্দু-মুসলমান চাকরিজীবী বা উকিল-মোক্তার বা স্কুল-কলেজের ছাত্রদিগের সংখ্যা-অনুপাতে দেখলে বলা যায়, প্রায় সমভাবেই যোগ দিয়েছিল। এতদিনে মুসলমানের ভিতর কিছু রাজনৈতিক চেতনার সঞ্চার হয়েছিল বলে ধরে নেওয়া যায়। এই সময় সর্বপ্রথম বন্দেমাতরম ও আল্লাহু-আকবর একসঙ্গে ধ্বনিত হয়। মনে হয়েছিল হিন্দু মুসলমান যেন অনেকটা একীভূত হয়ে গেছে।

ভারতীয় উপমহাদেশে, বিশেষত বাংলায় হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ নিয়ে যে ক’জন মানুষ আন্তরিকভাবে বিচলিত ছিলেন, উপায় খুঁজেছিলেন এ দ্বন্দ্ব অবসানের, তাদের অন্যতম ছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন। কবি নজরুল তাকে ভালোবেসে ডাকতেন মতিহার বলে। আমৃত্যু অসাম্প্রদায়িক ছিলেন তিনি। এই অঞ্চলের প্রধান দুই সম্প্রদায়ের পারস্পরিক অবিশ্বাস ও বিরোধ এবং একে কেন্দ্র করে কুটিল রাজনীতি ‘মতিহার’কে করেছিল ব্যথিত। উভয় সম্প্রদায়ের মনোবেদনা তিনি বুঝতে চেয়েছেন পরম মমতায়। সেই বোধ থেকেই উৎসারিত তার এই প্রবন্ধ। সময় বদলালেও প্রবন্ধটি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। উপমহাদেশ জুড়েই সাম্প্রদায়িক বিরোধ ফের মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। —অবিশ্বাস টিম।


সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি বর্তমানে বড় গুরুতরভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। বিশ-ত্রিশ বৎসর আগেও শুনেছি, রাজনৈতিক নেতারা বক্তৃতামঞ্চে উঠে বলেছেন, “আমরা হিন্দু-মুসলমান পরস্পর ভাই-ভাই—একই মায়ের দুটি সন্তান, একই রথের দুটি চক্র, একই দেহের দুটি বাহু ইত্যাদি।” কিন্তু আজকাল তাদের বক্তৃতার ধারা যেন অন্য পথে চলেছে। এখন প্রায়ই শুনা যায়, আমাদের কৃষ্টি ও দৃষ্টি পৃথক, মিলন প্রচেষ্টা বিফল, একে অন্যের সহায়তা ব্যতিরেকেই বা বিরোধিতা সত্ত্বেও স্বদেশের উন্নতির সাধন সম্ভব, এমনকি শাসন ব্যাপারে পরস্পরের প্রভাবাধীন অঞ্চল বিভাগ করে নেওয়াই একমাত্র পন্থা।

এই সময়ের মধ্যে এমন কী ঘটনা ঘটেছে যার জন্য মনোভাবের এরূপ পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তা বিশেষভাবে বিবেচনা করে দেখবার মত। সহজেই চোখে পড়ে, বর্তমান শতাব্দীর প্রথম দশকে যে স্বদেশী আন্দোলন হয় তাতে হিন্দু যোগ দিয়েছিল, মুসলমান যোগ দেয়নি বললেও চলে। প্রতিবেশী হিন্দুর আহবান মুসলমান কর্তৃক কেন উপেক্ষিত হল—এ বিষয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ যা বলেছেন তার ভাবার্থ এই যে অবজ্ঞাত দুর্বলপক্ষ প্রবলপক্ষের গরজের ডাকে প্রাণ খুলে সাড়া দিতে পারে না। বিদ্যাবুদ্ধি ধন-সম্পদ ও প্রতিপত্তিতে শ্রেষ্ঠ বঙ্গীয় হিন্দু দীন দরিদ্র মুসলমানদিগকে এবং ঐ অবস্থার হিন্দুকেও কোনোদিন হয়ত প্রীতির চোখে দেখে নাই । তাই অকস্মাৎ উন্নতদের ডাকে অনুন্নতেরা প্রাণ খুলে সাড়া দিতে পারে না। তাদের মনে ছিল কতকটা সন্দেহ, কতকটা অস্পষ্ট উপলব্ধি-জনিত দ্বিধা। হুজুগের জোরে কাজ কিছুটা অগ্রসর হতে পারে কিন্তু অধিক দূর নয়। এজন্য প্রথম স্বদেশী আন্দোলন প্রধানতঃ শিক্ষিত হিন্দুদের মধ্যে এবং তাদের দেখাদেখি হুজুগক্রমে হিন্দু-জনসাধারণের মধ্যেও কিছু প্রসার লাভ করেছিল। মুসলমান যে উক্ত আন্দোলনে যোগ দেয়নি, তার থেকেই এই সিদ্ধান্ত করা যায় যে ঐ সময়ে তাদের স্বাতন্ত্রাবোধ পুরোমাত্রায় না হোক, কিছু কিছু জাগ্রত হয়েছিল—অন্ততঃ তাদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বেশ খানিকটা স্বাতন্ত্র্যবোধ জন্মেছিল। ঐ সময়ে বর্তমান ধরনের দাঙ্গা-হাঙ্গামা কম হত; কিন্তু ভিতরে ভিতরে যে বিক্ষুব্ধ মনোভাবের অস্তিত্ব ছিল না একথা জোর করে বলা যায় না। তখনও কোরবানী নিয়ে দুই-একটা দাঙ্গা-হাঙ্গামার বিবরণ পশ্চিমাঞ্চল থেকে শোনা যেত, কিন্তু বাংলাদেশে তেমন ছিল না। প্রতাপশালী হিন্দু জমিদারের মাটিতে মুসলমান প্রজা কোরবানী করতে সাহস করত না—এখনও অনেক স্থানে করে না। কিন্তু তাই বলে তারা যে নিজেদের অধিকারচ্যুত মনে করত এরূপ প্রমাণিত হয় না। আজকাল একটা ধুয়া উঠেছে, বিচার-আচার, যুক্তি-তর্ক কিছু নয়, যার যার বর্তমান অধিকার বজায় রাখতে হবে—অর্থাৎ ন্যায়ভাবেই হোক আর অন্যায়ভাবেই হোক যে একটি সুযোগ পেয়ে বসেছে, সে কিছুতেই তা ছাড়বে না। আর যাকে একবার অসুবিধায় ফেলা গেছে, সে যেন চিরকাল ঐভাবেই নিষ্পেষিত হতে থাকে। এই প্রকার মনোবৃত্তির ফলে স্বাধীন জাতিদের মধ্যে বড় বড় যুদ্ধ সংঘটিত হতে পারে, আর পরাধীন নির্বীর্য জাতির মধ্যে স্বার্থগত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধা কিছু আশ্চর্য নয়।

দেখা গেছে, জাতি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে অতিরিক্ত পার্থক্য— সে আর্থিকই হোক, শিক্ষা-সংক্রান্তই হোক বা বিচারনৈতিকই হোক— বিক্ষোভের সৃষ্টি করে। রাজা রামমোহনের আমলেও যে মুসলমান শিক্ষা-সম্পদ, রুচি-সভ্যতা এবং কর্মদক্ষতায় হিন্দুর চেয়ে নিকৃষ্ট ত নয়ই বরং উৎকৃষ্টই ছিল, অল্পকালের মধ্যেই সে হিন্দুদের চেয়ে সর্বাংশে নিকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। এর কারণ কতকটা ইংরেজ শাসনে জমিদারী বন্দোবস্ত, নিষ্কর বাজেয়াপ্ত এবং ঐ কালের মুসলমানদের ওহাবী-বিদ্রোহ, ইংরেজ-বিদ্বেষ এবং গতানুগতিক প্রিয়তা। কিন্তু মুসলমানের সাথে শাসন-জাতির অসৌহার্দ্যই বোধহয় এই অবনতির প্রধান কারণ। এজন্য মুখ্যতঃ হিন্দু কে দায়ী করা যায় না। কিন্তু তবু মুসলমানের নিষ্ফল আক্রোশ সুবিধাভোগী হিন্দুর ওপরেই গিয়ে পড়ল। যে-কারণে অফিস-ফেরত বড়বাবু সাহেবের চোখ-রাঙানী কিংবা বিশিষ্ট সম্বোধন হজম করে স্বগৃহে আপন-পরিজনবর্গের ওপর ঝাল ঝাড়তে প্রবৃত্ত হয়, এ যেন কতকটা সেই ধরনের। হিন্দুও যেন কোনো দিন মুসলমানের প্রতি স্নিগ্ধ গদগদভাব পোষণ করতে পেরেছে বা আজও করছে, তেমন নয়। প্রতিদিন শহরের কসাইখানায় কত গরু সামরিক ও বেসামরিক লোকের আহার্যে পরিণত হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয় না, কিন্তু কোরবানীর সময় গোরক্ষিণী বৃত্তির বিশেষ প্রকাশ হয়। পক্ষান্তরে গোরা-পল্টন ব্যান্ড বাজাতে বাজাতে মসজিদের পাশ দিয়ে মার্চ করে গেলে, কিংবা মহরমের সময় মুসলমান ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মসজিদের সামনে দিয়ে গেলে কারও নামাজের ব্যাঘাত হয় না, অথচ সংকীর্তন বা দোল-দশহরা প্রভৃতি হিন্দু-উৎসব উপলক্ষে কাঁসর-সানাই বাজলেই নামাজে মনোযোগ রক্ষা করা অসাধ্য হয়ে পড়ে। এর থেকেই বোঝা যায়, এসবের ভিতরে যতটা প্রপাগাণ্ডা বা জিদ আছে ততটা আন্তরিকতা নিশ্চয়ই নাই।

দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন বা অসহযোগ আন্দোলনের সময় দেখা যায় মুসলমান হিন্দুর সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। হিন্দু-মুসলমান চাকরিজীবী বা উকিল-মোক্তার বা স্কুল-কলেজের ছাত্রদিগের সংখ্যা-অনুপাতে দেখলে বলা যায়, প্রায় সমভাবেই যোগ দিয়েছিল। এতদিনে মুসলমানের ভিতর কিছু রাজনৈতিক চেতনার সঞ্চার হয়েছিল বলে ধরে নেওয়া যায়। এই সময় সর্বপ্রথম বন্দেমাতরম ও আল্লাহু-আকবর একসঙ্গে ধ্বনিত হয়। মনে হয়েছিল হিন্দু মুসলমান যেন অনেকটা একীভূত হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে অসহযোগের সঙ্গে খেলাফত আন্দোলনের সংযোগই বোধ হয় এদের সাময়িক ঐক্যের প্রধান কারণ হয়েছিল। এইজন্য খেলাফত আন্দোলনরূপ বেলুনের হাওয়া বের হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুসলমান রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে অনেকটা সরে পড়েছে— কংগ্রেসের সঙ্গে আর ততটা মাখামাখি করছে না—বরং ঠাট বজায় রাখবার জন্য কংগ্রেস বিরোধী দলে ভিড়েছে বা ভিড়ছে। হিন্দুর প্রতি মুসলমানের এই নবজাত বিরূপতায় প্রধান কারণ বোধ হয় অসহযোগ আন্দোলনের নিস্ফলতা। বর্তমানে মুসলমান নেতাদের অধিকাংশেরই ধারণা জন্মেছে যে অসহযোগ আন্দোলনের ফলে গোটা সম্প্রদায় হিসাবে হিন্দু বিশেষ কিছুই ক্ষতি হয় নাই। কিন্তু মুসলমানের সমূহ ক্ষতি হয়েছে, শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি প্রায় দশ বৎসর পিছিয়ে গিয়েছে। হয়ত এসবই ঐ গান্ধীর কারসাজি। মুসলমান নেতারা আরও দেখতে পেয়েছে কর্পোরেশন, মিউনিসিপ্যালিটি প্রভৃতি দেশীয় প্রতিষ্ঠানে মুসলমানের স্বার্থের দিকে লক্ষ্য করা হয় নাই। এইরূপ ধারণা অবিশ্বাসের পরিপোষক এবং মিলনের পরিপন্থী। অর্থনৈতিক দুর্দিনের এইরূপ পরিণতির আশঙ্কা করে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন যে পরিকল্পনা করেছিলেন তা উপযুক্তরূপে কার্যে পরিণত হয় নাই। এক শতাব্দীর অধিককাল যাবৎ হিন্দু সরকারী চাকুরী, অফিস, আদালত, ব্যবসায়-বাণিজ্য প্রায় একচেটে করে রেখেছে। মুসলমান চেতনা লাভ নিজের অসহায় অবস্থার কথা বুঝতে পেরেছে। সরকারী নীতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান কিছু অধিকার শতকরা হিসাবে চাকুরী ইত্যাদি ভোগ করতে চাচ্ছে। এর ফলে হিন্দু সুযোগে বাধা পড়েছে। কোনো অফিস বা প্রতিষ্ঠানে সেন্ট-পারসেন্ট হিন্দু কর্মচারী কেরানী নিযুক্ত হলে অতিশয় অস্বাভাবিক বর্ণিত হয়।

অন্নবস্ত্রের সংস্থান ব্যাপারে এই প্রতিযোগিতাই হিন্দু-মুসলমানের বিরোধের প্রধান কারণ। ভাণ্ডারে প্রচুর সম্পদ থাকলে দান-দক্ষিণা করতে বাধে না, কিন্তু আমাদের জাতীয় সম্পদ এত স্বল্প কণাটুকু খসলেই নিতান্ত অসুবিধায় পড়তে হয়। হিন্দুও কিছু এমন সুখে নাই যে সে স্বচ্ছন্দে একটু ভাগ মুসলমানকে ছেড়ে দিতে পারে। হিন্দু- মুসলমান উভয়েই ভিক্ষুক— অভাবের তীব্র তাড়নায় জর্জরিত। এরূপ অবস্থায় মানুষের আদিম প্রবৃত্তি— আত্মসংরক্ষণবৃত্তি প্রবল হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এই জন্যই এত রোষ, গর্জন, হানাহানি। অবস্থার উন্নতি না হলে এর স্থায়ী প্রতিকার কিছু দেখা যায় না। আমার বিশ্বাস, হিন্দু-মুসলমানের ঘরে যদি অভাব না থাকত, তবে ক্ষুদ্র স্বার্থের দ্বন্দ্ব আপনা থেকেই থেমে যেত।

উপরে যা-কিছু বলা হয়েছে, সবই সাধারণভাবে সমগ্র সমাজকে লক্ষ্য করেই বলা হয়েছে। কিন্তু উভয় সমাজেই মহৎ-ভাবাপন্ন অনেক উদার ব্যক্তি আছেন যারা জাতি সমাজের ঊর্ধ্বে মানুষকে স্থান দিয়ে থাকেন। দুর্যোগের কালো মেঘের একপ্রান্তে এরাই একমাত্র আশার রজত-রেখা। দ্বেষ-প্রচারক, স্বার্থান্বেষী নেতা খবরের কাগজের কবল থেকে জাতিকে রক্ষা করার ভার এদের ওপরেই। এরা যদি দেশে সুশিক্ষা বিস্তার করে জনমন জনচরিত্র সুন্দর করতে পারেন, তবে কোনও সুদূর ভবিষ্যতে দেশের সুখ-সম্পদ হয়ত ফিরে আসতে পারে। কিন্তু বর্তমানে আশা এত ক্ষীণ কিছুই ভরসা করা যায় না, কারণ এখনও মানুষ পর্যুদস্ত, পশুবলই প্রবল।

জয়শ্রী
ভাদ্র ১৩৪৮

নতুন লেখার নোটিফিকেশন পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

কপিরাইট সংক্রান্ত

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা ভালো লাগলে, গুরুত্বপূর্ণ মনে করলে, কিংবা অপছন্দ করলে নিজে বকা দিয়ে অন্যকে বকা দেয়ার সুযোগ করে দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন। লেখার শুরুতে এবং শেষে ফেসবুকসহ ডজনখানেক এপসে শেয়ার দেয়ার অপশন আছে। চাইলে কপি করেও শেয়ার দিতে পারেন। কিন্তু দয়া করে নিজের নামে অথবা জনাবা সংগৃহীত ভাইয়ের নামে, কিংবা মিস্টার কালেক্টেড এর নামে চালিয়ে দিবেন না। মূল লেখক এবং ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করবেন। এবং দোহাই লাগে, এখান থেকে কপি করে নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন না।

মন্তব্য করুন