নেত্রকোনার সদর উপজেলায় কুনিয়া মাইজপাড়া এলাকায় ৯ ও ৭ বছরের দুই ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে হাফেজ মোবাশ্বির (৩০) নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
২৭ আগস্ট শুক্রবার দুপুরের দিকে কুনিয়া মাইজপাড়া তানকুল উলুম মাদ্রাসার ওই শিক্ষককে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত হাফেজ মোবাশ্বির সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় টেকেরঘাট দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত আজমল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, কুনিয়া মাইজপাড়া এলাকায় তানকুল উলুম নামে এলাকাবাসী নিজেদের অর্থায়নে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি সাত-আট মাস আগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন অভিযুক্ত মোবাশ্বির। এলাকাবাসী হুজুরকে পরিবারসহ থাকার জন্য ঘর তৈরি করে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেন। হুজুর স্ত্রী ও দুই শিশু ছেলেসন্তান নিয়ে এখানে থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করেন।
কুনিয়া গ্রামের নয় এবং উলুয়াটী গ্রামের সাত বৎসর বয়সী মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে কয়েকবার ধর্ষণ করেন হাফেজ মোবাশ্বির। ধর্ষণের বিষয়টি শিশু দুটি প্রথম প্রথম চেপে গেলেও হুজুরের অত্যাচরে বাধ্য হয়ে বাবা-মাকে জানায়। পরে তা এলাকাবাসী জেনে গেলে অভিযুক্ত হুজুর স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে পালিয়ে যান।
তিন-চার দিন পালিয়ে থাকায় এলাকাবাসী মোবাইলের মাধ্যমে সমাঝোতা এবং স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসতে বলে। ২৭ আগস্ট শুক্রবার দুপুরের দিকে কুনিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানালে অভিযুক্ত হুজুরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি হাফেজ মোবাশ্বিরকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকগণ থানায় এসেছেন। অভিযোগ দায়ের এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।