পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। গত সোমবার (১০ জুন) ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটলেও প্রভাবশালীদের চাপে ছাত্রীর পরিবার মামলা করতে পারেনি বলে জানান ছাত্রীর চাচা। বুধবার (১২ জুন) মামলা করার জন্য তারা আদালতে গিয়েছেন বলে তিনি জানান। তবে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুল ইসলাম এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
ছাত্রীর বাবা জানান, ওই ছাত্রী একদন্ত স্কুলের পার্টটাইম শিক্ষক আরিফুল ইসলাম আরিফের কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার সময় স্কুলের সামনের কসমেটিকসের দোকানদার একদন্তের নরজান গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে আকাশ (২২) ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক একটি পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আকাশ পালিয়ে যায়। পরে তারা ওই ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
একদন্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আকাশ নামে একটি ছেলের বিরুদ্ধে এর আগেও একই ধরনের কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।’
একদন্ত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘মেয়েটি আমার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। এ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র আকাশ মেয়েটির ওপর নির্যাতন করেছে শুনেছি। ঘটনাটি সত্য হলে তার চূড়ান্ত শাস্তির দাবি করছি।’
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আকরাম আলী বলেন, ‘ডাক্তারি রিপোর্ট বা মেয়েটির জবানবন্দি ছাড়া ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারছি না। মেয়েটির অভিভাবক থানা বা আদালতে মামলা করলে আসামিকে গ্রেফতারসহ সব ধরনের আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।’
এদিকে নির্যাতনের শিকার মেয়েটির চাচা বলেন, ‘গত সোমবার এই ঘটনা ঘটলেও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চাপ ছিল। আকাশের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় আইনগত পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব হয়েছে। আজ (১২ জুন) মামলা করার জন্য মেয়েকে নিয়ে আদালতে এসেছি।’