ভোলার বোরহানউদ্দিনে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে এক স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় মাসুদ নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে তার সহযোগীকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম উপজেলার একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। ৬ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে স্কুলের কাজ শেষে সে বাড়ি ফিরছিল।
এ সময় তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নেয় তজুমদ্দিন বাজারের দোকান কর্মচারী মাসুদ ও তার সহযোগী। পরে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে দুজন মিলে ধর্ষণ করে।
বিকাল ৩টায় মুমূর্ষু অবস্থায় মাসুদ তাকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রক্ত বন্ধ না হওয়ায় রাতে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বলেন, দুপুরে বাড়ি যাওয়ার জন্য স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় পূর্বপরিচত মাসুদ তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদই আমাকে হাসপাতাল ভর্তি করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাসুদের সহযোগীও মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করেনি।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সায়েদুর রহমান জানান, রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কিন্তু রক্ত বন্ধ হচ্ছে না। গাইনি বিশেষজ্ঞ দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ভিকটিমের বাবা-মা জানিয়েছেন, মেয়ের বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় তারা খোঁজাখুজি করেন। বিকালে ওসি ফোন করে জানান তাদের মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত মাসুদকে পুলিশ আটক করেছে। মাসুদের বাড়ি তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামে। তিনি তজুমদ্দিন বাজারে একটি থাই গ্লাসের দোকানের কর্মচারী। ঘটনার পর থেকে তার সহযোগী পলাতক রয়েছে।
লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় আটকের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন। তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে তথ্য দেবেন।