কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় প্রেমিকাকে ডেকে বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এবাদ উল্লাহ নামের ওই কথিত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এ ঘটনার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতার ব্যক্তি।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর বড় উপজেলার মহেশখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নারীর বরাত দিয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানান, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের এবাদ উল্লাহর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এবাদ উল্লাহ গত ১১ অক্টোবর সকালে ফোন দিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে। ওই তরুণী দেখা করতে গেলে এবাদ উল্লাহ ও তার দুই বন্ধু-খাইরুল আমিন ও নূর হাকিম মিলে তাকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য এরফান উল্লাহ জানান, এবাদ উল্লাহ ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে চাঁদা দাবী করে। ১২ অক্টোবর তাদের দাবীর টাকা নির্দিষ্ট একটি মাঠে রেখে আসা হয়। রাতেই এবাদ উল্লাহ ও খাইরুল আমিন মাঠে টাকার জন্য আসলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তিনি দু’জনকে আটক করেন।

তিনি আরও জানান, দু’জনকে আটক করার পর স্থানীয় এক ব্যক্তি খাইরুল আমিনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে এবাদ উল্লাহকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার এবাদ উল্লাহ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধর্ষণের দ্বায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা চলছে।

ঢাকা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন