২০০৭ সালে ‘প্রথম আলো’র স্যাটায়ার ম্যাগাজিন ‘আলপিন’ এ কার্টুন এঁকে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেফতার হন কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান। গ্রেফতার করে প্রথমে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর কয়েকজন পুলিশ তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার হুমকী দেয়। এমনকি কারাগারে মুসলিমদের আক্রমণের শিকারও হন। একটি সাধারণ কার্টুন সে সময় মুসলমানদের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা হিংস্রতা খুব সুন্দরভাবে বের করে আনে। শুধু আরিফুরকে গ্রেফতার করেই ক্ষান্ত হয়নি তৎকালীন সরকার, আলপিন ম্যাগাজিনের সেই সংখ্যা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
সে সময় মহাপ্রতাপশালী ফখরুদ্দিন সরকারের মেরুদন্ড আসলে কতটা সরু ছিলো, তা প্রকাশ হয়ে যায়। উপদেষ্টা মইনুল হোসেন (যিনি এখনো জাতিকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ছবক দিয়ে বেড়ান) প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবের কাছে নিয়ে যান ক্ষমা চাইতে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শত শত কলংকজনক ঘটনার মাঝে এই ঘটনাও ঠাঁই করে নেয়। মৌলবাদের রাষ্ট্রের কাছে মাথা নত করার আরো একটি উদাহরণ সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে নিরাপত্তার অভাবে কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান দেশ ত্যাগে বাধ্য হন। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখে তিনি নরওয়ে চলে যান এবং এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন।