বুধবার রাতে কেশবপুর থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের ঘোষপাড়ায় ২৮টি বাড়ি থেকে দুষ্কৃতকারীরা গণচাঁদা আদায় করেছে। এ সময় তারা বাড়ির মহিলাদের নাজেহাল করে। এলাকাবাসী বলেছেন, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ৩০/৪০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রামে ঢুকে ঘোষপাড়ার গৌর ঘোষ, সূর্য ঘোষ, ঠাকুর ঘোষ, গোপাল ঘোষ ও পরিতোষ ঘোষসহ ২৮টি হিন্দু পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আদায় করে। কেউ টাকা দিতে গড়িমসি করলে সন্ত্রাসীরা তাদের শিশু সন্তানকে অপহরণ এবং স্ত্রীদের শালীনতাহানি করার ভয় দেখায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা মহিলাদের ধরে টানা হেচড়াও করে। অগত্যা অসহায় লোকজন তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা পয়সা তাদের হাতে তুলে দেয়। দুর্বৃত্তরা যাওয়ার সময় গ্রামবাসীকে আরো ৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে রাখার নির্দেশ দিয়ে গেছে। যা তারা ১ মাস পরে এসে নিয়ে যাবে। টাকা যারা দিতে পারবে না তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। এ ঘটনার পর ঘোষপাড়ার লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এদিকে ঘটনার কথা জানতে পেরে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আবু বকর সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ওয়ার্কার্স পার্টি এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিকালে কেশবপুর ত্রিমোহিনী মোড়ে এক সমাবেশ আহ্বান করেছে।
ভোরের কাগজ, ২৯ ডিসেম্বর ২০০১