গাজীপুরের টঙ্গীতে বিয়ের কথা বলে এক পোশাক শ্রমিক ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন ভিকটিম কিশোরীর মা। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামালায় অভিযুক্তরা হলেন এরশাদ নগর এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে রুবেল মিয়া (২১), মোস্তফার স্ত্রীর আমেনা বেগম (৬০), তার ছেলে রাজু মিয়া ওরফে জাহাঙ্গীর (৪৫), আলমগীর হোসেন (৪০), জামাল মিয়ার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩০), আলমগীর হোসেনের ছেলে রাকিব মিয়া (১৯), জামাল মিয়ার মেয়ে জান্নাত (১৮)। এদের মধ্যে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

এসআই জাকির হোসেন মামালার বরাত দিয়ে জানান, ভিকটিম কিশোরী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ওই কিশোরী তার কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে এরশাদ নগর এলাকার রাজু মিয়া ওরফে জাহাঙ্গীরের ছেলে রুবেল মিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

গত শনিবার (১৭ জুলাই) রাত ৯টায় রুবেল ওই কিশোরীর বাসায় যায় এবং একা পেয়ে বিয়ের কথা বলে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে ভিকটিমকে খুন করার হুমকি দেয় রুবেল।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) কিশোরী ঘটনাটি তার মাকে জানায়। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় অভিযুক্তের বাসায় গিয়ে তার মা-বাবাকে ঘটনাটি জানায় ভিকটিমের মা। এসময় অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের মাকে লাঞ্ছিত ও মারপিট করে আহত করে। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে ভিকটিমের মা ওইদিন রাতেই টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় রুবেলরে বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয় এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের রিরুদ্ধে লাঞ্চিত ও মারধোরের অভিযোগ করে।

তিনি আরও বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে প্রধান অভিযুক্ত রুবেল মিয়াসহ বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছে।

এদিকে, অপর একটি ঘটনায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইল থানা এলাকায় ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) প্রতিবেশী কিশোর তুহিনকে (১৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে বসুগাও গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় মীরের বাজারের মসলা বিক্রেতা। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি মহিদুল ইসলাম জানান, ভিকটিম শিশুর প্রতিবেশী হওয়ায় প্রায়ই অভিযুক্ত কিশোর তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে শিশুর বাবা-মা বাসায় না থাকার সুযোগে শিশুটিকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই কিশোর। এসময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে অভিযুক্ত কিশোর পালিয়ে যায়। শিশুর বাবা-মা বাসায় আসলে সে তাদেরকে সবকিছু খুলে বলে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) শিশুর বাবা থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিম শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন