চট্টগ্রাম নগরীতে গত ছয় বছর ধরে বাসায় জিম্মি করে রেখে এক মেয়েকে তার সৎ বাবা ধর্ষণ করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মো. জাহাঙ্গীর (৫০) বহদ্দারহাট এলাকায় ভাসমান দোকানে চা ও বিরিয়ানি বিক্রি করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আক্রান্ত তরুণীর মা জানান, ১৪ বছর আগে তার সঙ্গে প্রথম স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়। ছয় বছর বয়সী মেয়ে নিয়ে তিনি জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় জাহাঙ্গীর মাজারে গিয়ে শপথ করেছিলেন, স্ত্রীর প্রথম পক্ষের মেয়েকে নিজের সন্তানের মতো দেখবেন। দ্বিতীয় সংসারে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। আক্রান্ত মেয়ের বয়স এখন ২০।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে যখন বড় হচ্ছিল, তখন আস্তে আস্তে জাহাঙ্গীরের আচরণ বদলে যায়। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখার পর মেয়েকে আর স্কুলে যেতে দেয়নি। সারাক্ষণ ঘরে আটকে রাখত। প্রথমদিকে আমি কিছুই বুঝিনি। গত সপ্তাহে আমি বাড়ি গিয়েছিলাম। তখন আমার ছোট মেয়ে জোর করে ধর্ষণের বিষয়টি দেখতে পায়।’
‘বাসায় আসার পর ছোট মেয়ে আমাকে আমাকে জানালে আমি মেয়েকে ঘটনা জিজ্ঞাসা করি। তখন সে আমাকে জানায়, গত ৬ বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছে জাহাঙ্গীর। কাউকে জানালে আমাকে তালাক দেওয়ার এবং ছোট ছেলে-মেয়ে দু’জনকে খুন করার ভয় দেখিয়ে সে এই কাজ করে আসছিল,’— বলেন ওই মা।
তিনি জানান, কয়েকবার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব এলেও জাহাঙ্গীরের আপত্তিতে সেসব প্রস্তাবও ভেঙে গেছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল কান্তি দেব বলেন, ‘২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে মা ও মেয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। এরপর আমরা বাসায় এসে জাহাঙ্গীরকে আটক করেছি। প্রাথমিকভাবে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।’