নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের দায়ে অভিযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। ধর্ষনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার তার বরখাস্তের চিঠি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
ছাত্রীর বাবা জানান, বরখাস্ত হওয়া সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় প্রথমে ৩ লাখ টাকা দেয়ার লোভ দেখায়। এতে ধর্ষণের শিকার শিশুটির দরিদ্র মা ও বাবাকে রাজি না হওয়ায় নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। একারণে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় লিখিত কোন অভিযোগ দিতে পারিনি।
এলকাবাসী জানায়, পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ওই ধর্ষক শিক্ষককে বাঁচাতে তৎপর রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ তারা প্রথম থেকেই ধর্ষনের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করে। সে কারণে ঘটনার দিন বিষয়টি কাউকে জানতে দেয়নি এবং মিমাংসা করার নামে ছাত্রী ও তার মাকে চাপ প্রয়োগ করে। সে সাথে দিনক্ষেপনের মাধ্যমে ধর্ষণের আলামত নষ্টের অপচেষ্টা চালায়। প্রধান শিক্ষক জাহিদুলের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও কোন রকম ব্যবস্থা নেননি। বরং তাদের প্রশ্রয় পেয়েই জাহিদুল শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের মতো এহেন অপকর্ম করতে সাহস পেয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন জানান, ঘটনাটি আমি শনিবার জানতে পেরেছি এবং সাথে সাথেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওসমান গনী জানান, ধর্ষণের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয়ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।