ধর্ষণের শিকার সাত বছরের এক শিশুকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৮ মার্চ  রবিবার দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভেতরে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ১১ মার্চ বুধবার বিকেলে নিজাম উদ্দিন (৫৫) নামে এক মুদি দোকানিকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

শিশুর নানী জানান, সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নে শিশুর বসবাস। বাবা বেঁচে নেই। অভাবের সংসারে মা ঢাকায় থেকে বাসাবাড়িতে কাজ করেন। এজন্য সাত বছরের শিশু থাকে নানীর কাছে। স্থানীয় স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া শিশু রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির বাইরে খেলা করছিল। এসময় চকলেট ও আচার দিয়ে লোভ দেখিয়ে মুদি দোকানি নিজাম উদ্দিন শিশুটিকে নিয়ে যায় স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভেতরে। সেখানে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় শিশুকে। নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঝাড়ুদার। সে কারণে তার কাছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চাবি থাকে।

এদিকে শিশু ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়। প্রভাবশালী একটি মহলের সহায়তায় নিজাম ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুর স্বজনদের চাপ দেয়। এ নিয়ে এলাকায় সালিস বৈঠকের চেষ্টাও চলে। বিষয়টি নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। পরে শিশুর নানী বাদি হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সংবাদ পেয়ে নিজাম উদ্দিন গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন।

জামালপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সানজিদা ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।’

নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, ‘শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় তার নানী মামলা দায়ের করেছেন। আসামি নিজাম উদ্দিন পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

কালের কণ্ঠ

মন্তব্য করুন