ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাচারীতোলা গ্রামে ১০ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাকে ফুসলিয়ে পাটক্ষেতে নিয়ে একই গ্রামের বাবর আলী (৪৩) ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত বাবর আলীর পরিবার শিশুটির বাবা-মাকে মামলা দিতে নিষেধ করেছে। কিন্তু ভুক্তভোগী শিশুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঘটনার পাঁচদিন পর গ্রামবাসীর সহায়তায় হরিণাকুন্ডু থানায় শনিবার ধর্ষণের মামলা হয়।
হরিণাকুন্ডু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম খবরটি নিশ্চিত করে জানান, গত ৯ আগস্ট দুপুরের দিকে শিশুটি বাড়ির পাশে খড়ি কুড়াতে যায়। এ সময় নিজের পাট ক্ষেতে ছিলেন বাবর আলী। পরে তিনি শিশুটিকে কাছে ডেকে ফুসলিয়ে পাট ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয় সেজন্য শিশুটির পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিলেন বাবর আলী। কিন্তু ধর্ষণের ফলে মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিষয়টি গ্রামজুড়ে চাউর হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে নিজতোলা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মুক্তির কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয় শিশুটিকে।
এদিকে গত শনিবার ধর্ষণের খবর পেয়ে হরিণাকুন্ডু থানার পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় এবং জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিরুল ইসলাম জানান, থানায় ধর্ষণ মামলা হওয়ার আগ থেকেই প্রধান আসামি বাবর আলী পালিয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।