নায়িকা দীঘি, তার বাবা ও মামার বিরুদ্ধে কোটি টাকার মানহানির মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বিরুদ্ধে।
মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে এই মামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে কোটি টাকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝন্টু নিজেই। তিনি বলেন, ‘আমার যে প্রোফাইল, আমার সিনেমার যে সংখ্যা ও সফলতা, তার সঙ্গে এই উপমহাদেশের আর কারও তুলনা হয় না। দীঘি ও তার পরিবার আমার যে মানহানি করেছে সেটির মূল্য ১০ কোটিরও বেশি। যদিও আমি এক কোটি টাকার মামলা করেছি।’
ঝন্টু আরও বলেন, ‘ছবি মুক্তির কয়েকদিন আগে যখন খোদ নায়িকাই বলে সেটি চলবে না। তখন মানুষ সেই ছবি দেখতে যাবে কেন? তার এত বড় সাহস! মুক্তির আগে চলবে না বললে তো সে (দীঘি) পরিচালক এবং প্রযোজকদের হুমকি দিলো। মানহানি ঘটালো। এটা না থামাতে পারলে কালচার হয়ে যাবে। অন্য নায়ক-নায়িকারাও বলবে। সব প্রযোজক-পরিচালক হুমকির মুখে পড়বেন।’
একই দিন জজ কোর্টে হাজির হয়ে ছবির প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন দীঘির বিরুদ্ধে, জানান ঝন্টু।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ) নির্মাতা ঝন্টুকে ‘সরি’ বলেছিলেন দীঘি। তার ভাষায়, ‘‘ঝন্টু আংকেল আমার ওপর কেন এত রাগ করেছেন সেটা আমি জানি না। আমি এমন কোনও স্টেটমেন্ট বা মন্তব্য করিনি যে উনি আমার নামে মামলা করতে চাইবেন। উনি আমার গুরুজন। আমার কাছে অনেক সম্মানের একজন মানুষ। আমি যদি কোনোভাবে, কোনও কথায় উনাকে দুঃখ দিয়ে থাকি তাহলে আমি তাকে ‘সরি’ বলছি।’’
তারও আগে দীঘি তার মুক্তি প্রতীক্ষিত অভিষেক ছবি ঝন্টু পরিচালিত ‘তুমি আছো তুমি নেই’ প্রসঙ্গে একটি পত্রিকায় নেতিবাচক সাক্ষাৎকার দেন। মূলত সেখান থেকেই শুরু হয় ঝন্টু বনাম দীঘি জটিলতা।
শিশুশিল্পী হিসেবে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয়েছিল দীঘির। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘কাবুলীওয়ালা’ সিনেমায় অভিনয় করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে মোট ৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন দীঘি। নায়িকা হিসেবে তার অভিষেক হয় ‘তুমি আছো তুমি নেই’ দিয়ে।
১২ মার্চ দুটি ছবিই মুক্তি পাচ্ছে একসঙ্গে। অনেকেই বলছেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ ছবির পক্ষে দাঁড়িয়ে ‘তুমি আছো তুমি নেই’-এর বিপরীতে কাজ করছেন দীঘি।