বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মেয়ারচর গ্রামে এক তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে হাতেনাতে আটক যুবককে থানায় সোপর্দ না করে সালিশের নামে ছেড়ে দিয়েছেন স্থানীয় মাতব্বররা। একই সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের গলায় জুতার মালা পরিয়ে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সালিশদারেরা।

 

অভিযোগ আছে, জরিমানার ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করে সটকে পড়ে যুবক। ওই টাকা রয়েছে সালিশদারদের পকেটে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাত ১০টার দিকে এক জেলের ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্থানীয় যুবক বেল্লাল রাঢ়ি। এ সময় তরুণীর পরিবারের সদস্যরা বেল্লালকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। রাতে ওই যুবককে তরুণীর বাড়ির উঠানের গাছের সঙ্গে শিকল বেঁধে মারধর করা হয়। বিষয়টি রাতেই স্থানীয় গণ্যমান্যদের মাঝে জানাজানি হয়।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকালে স্থানীয় মামুন চৌকিদার, জসিম খান, কবির খাঁ, আনোয়ার চৌকিদার ও মো. জহিরসহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে তরুণীর বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে বেল্লালকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জুতার মালা গলায় পরানো হয়। বেল্লালের পরিবার তাৎক্ষণিক ৪০ হাজার টাকা সালিশদারদের কাছে দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। তবে ওই অর্থ তরুণীর পরিবার পায়নি।

সালিশ করার কথা স্বীকার করলেও জরিমানা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সালিশদার মামুন চৌকিদার। তিনি বলেন, ‘ওই ছেলে এবং মেয়ে পরস্পরকে ভালোবাসে। ওই রাতে বেল্লাল তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। এ সময় প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা তাকে ধরে গাছে বেঁধে মারধর করেন। খবর পেয়ে সকালে সালিশ করে বেল্লালকে মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় শর্ত দেওয়া হয়, ওই ছেলে কিংবা মেয়ে ভবিষ্যতে; যে আগে মোবাইলে কল দেবে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।’

মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, তিনি এই ধরনের কোনও খবর জানেন না। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন