বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বেজাহার এলাকায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আরেক শিশুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতিত শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
মামলায় যে শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বয়স ১২ বছর। নির্যাতিত শিশুর পরিবারকে মামলা না করতে হুমকি দেয়ায় অভিযুক্ত শিশুর বাবা মিজান খলিফা ও মা জেসমিন খলিফাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতিত শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় এ মামলা করেন। বিকেলে অভিযান চালিয়ে গৌরনদী উপজেলার বেজাহার এলাকার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিশুটিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গৌরনদী থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. তৌহিদুজ্জামান মামলার এজহারের বরাত দিয়ে বলেন, নির্যাতিত শিশু ও অভিযুক্ত শিশু প্রতিবেশী। সেই সুবাদে দুই পরিবারের মধ্যে সু-সম্পর্ক ছিল। মাঝেমধ্যে বাদীর মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করত এবং দোকানে নিয়ে চকলেট কিনে দিত অভিযুক্ত শিশুটি।
এসআই মো. তৌহিদুজ্জামান আরও বলেন, অভিযুক্ত শিশুর বয়স কম হওয়ায় মেয়েকে কোলে দিতে কখনো আপত্তি করতেন না মামলার বাদী। বুধবার দুপুরে বাদীর মেয়েকে কোলে নিয়ে ঘুরতে বের হয় অভিযুক্ত শিশুটি। প্রথমে বাড়ির পাশের মসজিদের পেছনের টয়লেটে নিয়ে যায়। সেখানে লোকজন আসতে দেখে মসজিদ থেকে কিছুটা দূরে বাগানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় বাদীর মেয়ে চিৎকার দিলে অভিযুক্ত শিশুটি পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা বাদীর মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে।
শিশুটির মা বলেন, বুধবার দুপুরে আমার মেয়ে ঘরের সামনে খেলতে ছিল। ওই সময় প্রতিবেশীর ছেলে আমার মেয়েকে কোলে করে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এলে মেয়ে ঘটনা খুলে বলে। এরপর মেয়েকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি অভিযুক্ত শিশুর বাবা-মাকে জানালে তারা চুপ থাকতে বলে এবং মামলা করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
হাসপাতালের একজন সেবিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন তার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুটি।
এসআই তৌহিদুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আহত শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তার বয়স ১২ বছর। বিকেলে অভিযান চালিয়ে গৌরনদী উপজেলার বেজাহার এলাকার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিশুটিকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি নির্যাতিত শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ