পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় কিশোরীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার মধ্যচড়াইল গ্রামের সবুর মোল্লার ছেলে সাকিব মোল্লা (১৭), একই এলাকার মো. মিজানের ছেলে মো. সজিব (২২), মো. আলমের ছেলে শাহেন শাহ (১৬) এবং অজ্ঞাত আরেকজন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর নির্যাতিত মেয়েটি মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে থাকত। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে মেয়েটি তার বোনের সাত বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে গ্রামের একটি দোকানে চানাচুর কিনতে যায়। চানাচুর কিনে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত চারজন মেয়েটির পিছু নেয়। মেয়েটি নানাবাড়ির সামনে পৌঁছলে তার সঙ্গে থাকা শিশুটি দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়। এ সময় অভিযুক্তরা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী রিপন বেপারীর সুপারি বাগানে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে তিনজনকে চিহ্নিত ও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভাণ্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামালা দায়ের করেন।
ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, ধর্ষণের ঘটানায় ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা হয়েছে। আসমি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।