সিলেটের কানাইঘাটে এক ইমামের ১৩ বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার মুহতামিমের ছেলে। এ সময় ধর্ষিত মাদ্রাসা ছাত্রীর সঙ্গে থাকা ৭ বছর বয়সী ছোট বোনের হাত বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ধর্ষণকারীরা।
বুধবার (১৮ মার্চ) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেহগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল ১১ টার দিকে ধর্ষিতা মেয়ে ও তার ছোট বোন পাশের গ্রাম লোহাজুরিতে তাদের নানা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর তারা দেখতে পায় পাশের বাড়ির কাশিম ও সাদুক তাদের পিছু নিয়ে লোহাজুরির অদূরে একটি টিলার পাশে গেলে পিছন থেকে সাদুক আর কাশিম তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুজনে ধরে টিলার উপর তুলে বড় বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ছোট বোন কান্নাকাটি করলে তার গায়ে পরিহিত জামা ছিঁড়ে হাত মুখ বেঁধে দিয়ে পালাক্রমে মেয়েকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ধর্ষিতা ও তার বোন তাদের নানাবাড়ি গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বললে ধর্ষিতাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। বর্তমানে ধর্ষিত মেয়ে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষক সাদুক আহমদ ফতেহগঞ্জ গ্রামের প্রখ্যাত আলেম ওলিউর রহমানের ছেলে ও পেশায় একজন ইলেক্ট্রশিয়ান। অপর ধর্ষক কাশিম আহমদ একই গ্রামের কয়সর আলোর ছেলে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি।
এদিকে, ধর্ষক প্রভাবশালী পরিবারের লোক হওয়ায় ধর্ষিত মেয়ের পরিবারকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়ের চাচা।
তিনি বলেন, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখছে ধর্ষণকারীর পরিবার।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা।