জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াস শরীফ জানান, গত শনিবার রাত ১টায় ছালাউদ্দিন এবং রোববার বিকালে আবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
এর আগে গত রোববার রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এ মামলার সাত আসামিকে গতকাল সোমবার কারাগার থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়াও একই মামলায় রোববার গ্রেপ্তার হওয়া অপর আসামি মুরাদকেও গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক জাকির হোসেন আদালতে মুরাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। আগামী ১০ জানুয়ারি আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
এদিকে গতকাল নির্যাতনের শিকার নারীকে দেখতে হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। ঘটনার প্রতিবাদে ভূমিহীন সমাবেশ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল চলছেই।
সুবর্ণচরে ঘটনায় করা মামলার আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন উন্নয়ন সংগঠন ‘নিজেরা করি’র সমম্বয়ক খুশী কবির। গতকাল দুপুরে সুবর্ণচরের পাঙ্খারবাজারে আয়োজিত নিরাপত্তা দাবি ও গণধর্ষণের বিরুদ্ধে সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
এছাড়াও গতকাল দুপুর ১২টায় পাঙ্খারবাজারে নারী ধর্ষণের প্রতিবাদ এবং দোষী ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের সদস্যরা ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত লোকজনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিসংবলিত ব্যানার ও পোস্টার বহন করেন।
নির্যাতনের ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ৯ জনের নাম উল্লেখ করে গত বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর চরজব্বর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো গ্রেপ্তারের বাইরে রয়েছে মো. হানিফ, মো. চৌধুরী ও মোশারফ। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ।
সূত্র: বিডিনিউজ