বরিশালের আগৈলঝাড়ায় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুশরাত জাহান নোহা ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাগে অভিমানে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
এই তদন্ত রিপোর্ট অভিযোগপত্র হিসেবে ৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার এসআই মনিরুজ্জামান। অভিযোগপত্রে স্থানীয় দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইককে একমাত্র আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শিশু শিক্ষার্থী নোহা নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সে ওই উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে এবং দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমীর ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় শিক্ষক সুমন পাইককে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন তার বাবা।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং সাক্ষ্য প্রমান শেষে প্রায় এক বছর পর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক সুমন পাইককে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন।